মেজর বজলুল হুদাকে শেখ হাসিনা নিজ হাতে জবাই করেছিলেন। আই রিপিট এগেইন, মেজর বজলুল হুদাকে শেখ হাসিনা নিজ হাতে জবাই করে হত্যা করেছিলেন।
মেজর বজলুল হুদাকে চিনে নাও প্রজন্ম, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পাকিস্থান বন্দি শিবির থেকে যে কয়জন অফিসার পালিয়ে এসে বাংলাদেশে যুদ্ধ করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম এই মহান বীর মেজর বজলুল হুদা।
মেজর বজলুল হুদার আরো একটি পরিচয় হল, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট একদল বীর সেনানী জাতিকে দিয়েছিলো এক ‘ডিভাইন জাস্টিস’। জাতিকে মুক্ত করেছিলো এক রাহুগ্রাস থেকে। মেজর বজলুল হুদা তাদের মধ্যে অন্যতম।
মানব থেকে দানবে পরিনত শেখ মুজিবকে হত্যার অপরাধে
২৮শে জানুয়ারী ২০১০ এ মেজর (অব.) বজলুল হুদা সহ মোট ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাত ১১টায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব আব্দুস সোবহান শিকদার, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকার জেলা প্রশাসক জিল্লার রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অমিতাভ সরকার, ডিএমপি কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক, ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. মুশফিকুর রহমানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, রযাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ১১টা ২০ মিনিটে পাঁচটি কফিন বক্স কারাগারের ভেতরে ঢোকানো হয়।
রাত ১১:৪০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আশেপাশের ও কারাগারের অভ্যন্তরের সব বিদ্যুৎ একসাথে চলে যায় (কয়েকটা পত্রিকায় এটা এসেছিলো তখন)। ঠিক তখন দুইটা কালো টিল্টেড গ্লাসের পাজেরো জীপ ঢূকে কারা অভ্যন্তরে। এর একটা পাজেরোতে ছিলো শেখ হাসিনা স্বয়ং। হাসিনা নিজে সেদিন ফাঁসির মঞ্চের সামনে উপস্থিত ছিলো ৪ জনের ফাঁসি নিজ চোখে দেখার জন্য। শুনে অবাক লাগছে? অনেক পত্রিকায় আসছিলো যে দুইটা ফাঁসির মঞ্চে দু’জন করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিলো। এবং এও এসেছিলো যে মেজর বজলুল হুদাকে প্রথম ফাঁসি দেওয়া হয়েছিলো!
আসলে মেজর বজলুল হুদাকে ফাঁসির মঞ্চেই নেওয়া হয়নি। মেজর হুদাকে প্রশাসনিক ভবনের একটি রুমে রাখা হয়েছিলো। দু’জন করে চার জনের ফাঁসির কাজ সমাপ্তির পর হাসিনা যায় মেজর বজলুল হুদার সেই রুমে। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলো কাশিমপুর থেকে আনা এক হিন্দু জল্লাদ। যেভাবে কোরবানির গরু জবাই করা হয় ঠিক একই ভাবে চারজন মেজর হুদার শরীর চেপে ধরেছিলো আর হাসিনা মেজর হুদার বুকের উপর এক পা দিয়ে চেপে রেখেছিলো আর সেই হিন্দু জল্লাদ জবাই করেছিলো। প্রত্যক্ষ দর্শীর বর্ণনা থেকে জানতে পারি জবাইয়ের সময় কিছু রক্ত ফিনকি দিয়ে হাসিনার শাড়ির বেশকিছু অংশ ভিজে যায়।
হুদার লাশ পরেরদিন ১০টায় আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে নেওয়ার আগে কয়েক হাজার পুলিশ, বিডিআর ও রযাব অবস্থান নিয়েছিলো। লাশ নেওয়ার সাথে সাথে রযাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ৫ মিনিটের মধ্যে লাশ দাফনের জন্য চাপ দিতে থাকে তার পরিবারের সদস্যেদের। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা ও কয়েক লক্ষ উপস্থিত মানুষের চাপের মুখে রযাব কর্তারা পিছু হটে। কফিন খোলার পর দেখা যায় লাশ অর্ধেক ডুবে আছে রক্তের মধ্যে। আবার গোসল করানোর জন্য লাশ নামানোর পর দেখা যায় মেজর হুদার গলা কাটা যা জাল বোনার মোটা সুতা দিয়ে সেলাই করা।
ফাসিতে ঝুলিয়ে মৃত ব্যক্তির গলায় শেলাইয়ের কোন প্রয়োজন হয়না, মেজর হুদার হাত পা ও ঘাড়ের রগও কাটা ছিলো না, এই তথ্য জানা যায় যিনি মেজর হুদার শেষ গোসল করিয়েছিলেন তার মুখ থেকে।
প্রজন্ম, জানোনা এই শেখ পরিবার কতটা ভয়ংকর ছিলো। আজ যারা শেখের নামে শিন্নি খায় তারা জানেনা কত হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিলো শেখের হুকুমে। আজ যারা শেখের জন্য মায়াকান্না করে তারা জানেনা শেখের তৈরি রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার সম্পর্কে। তারা কেহই জানেনা শেখ মুজিব দাম্ভিকতা ও ক্ষমতার লোভে মানব থেকে দানবে পরিনত হয়েছিলো। একদল চৌকস সেনা অফিসার তখন মানুষ শেখের হিংস্র থাবা থেকে রক্ষ্যা করে তাকে হত্যার মাধ্যমে।
প্রজন্ম আরও জেনে নাও, শেখ মুজিব নামের দানবকে হত্যার অপরাধে এক দল নিরপরাধ মুক্তিযোদ্ধা ও সাহসী সৈনিকদের হত্যা করা হয়। বেশ কয়েকজনকে দেশান্তরী করা হয়, যারা আর কোনদিন দেশে ফিরতে পারেন নি।